সেই কয়েক শত পক্ষ ধরে শুকতারার সাথে কৃষ্ণপক্ষের মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে ধূসর গলির মুখে দাঁড়িয়ে আনমনতায় ফুঁপিয়ে উঠে হিয়া। স্বপ্নগুলো দিনকয়েক বড় বেয়াড়া হয়ে উঠেছিল। গণতন্ত্র কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছিল। চেয়েছিল কায়েম করতে মনোজগতে একচ্ছত্র আধিপত্য।
মধ্যবিত্ত স্বপ্নগুলো উচ্চবিত্ত স্বপ্নের আগ্রাসনে পিষ্ট হয়ে ঘরকুনো হয়ে যায় । স্বপ্নগুলোও আজ রাজনীতিতে নেমে গেছে নিজেদের আধিপত্যের বড়াইয়ে।
উচ্চবিত্ত স্বপ্নগুলো মনন উদ্যানে প্রায়শই স্বপ্নসভা ডেকে বসে। কাল্পনিক আশ্বাসে বিশ্বাস দিয়ে জিতে নিতে চায় মন।এদিকে মধ্যবিত্ত স্বপ্নগুলোর অমরত্বের প্রত্যাশা নেই … মুক্তি পায়না মন উচ্চবিত্তের স্বপ্নের একক দাম্ভিকতায় । স্বপ্নগুলো মধ্যবিত্তে কাঙ্গালতার রূপ ও উচ্চবিত্তের রঙ্গিন চোখ জৌলুসতায় হাপিয়ে ওঠে মনন নগর ।
মনন নগরে মাতসন্যতা ঠেকাতে মধ্যবিত্ত স্বপ্নগুলো বিদ্রোহী রূপ নিয়ে সাম্যতার ডাকে নেমেছিল মননের রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে- “স্বপ্নের সাম্যতা চাই”
“স্বপ্ন বিপ্লবে” পুঁজিবাদী স্বপ্নগুলো এই জন্মে পিছুটান দিয়ে চলে যাবার আগে পরজন্মের হুঙ্কার দিয়ে গেল ।
সাদা কফিনে মর্গের বারান্দায় স্ট্রেচারে সদ্যবিদায়ী স্বপ্নগুলোকে বিদায় জানালাম অনাড়ম্বর অশ্রু বিসর্জনে।
–তীর্থের কুহক,১৭ অক্টোবর,২০১৫
Advertisements