[ ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দাঙ্গাকারীদের আঘাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন প্রদেশের আবদুল ওয়ালী খান, মারদান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রগতিশীল ছাত্র মাশাল খান গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিহত হন ]
আমি নিখোঁজ ।
বিগত সপ্তাহ কয়েক আগে- পুলিশে করেছি দায়ের অভিযোগ।
প্রতিনিয়ত অফিসারকে করি জিজ্ঞেস- পেলেন কিছু জনাব?
সহানুভুতিশীল অফিসার হতাশাচ্ছন্ন ইঙ্গিতে
মাথা ঝাঁকুনির কাপা গলার স্বগোক্তি- পাইনি তোমার কোন সন্ধান ।
দিলেন আশ্বাস- ‘একদিন তোমাকে খুঁজে পাবে
হয়ত কোন রাস্তার কিনারে অচেতনে;
নয়তো জখম অবস্থায় হাসপাতালে
কিংবা মৃতদেহ হয়ে দখল করেছ কোন নদীর ধার’।
অশ্রুসজল চোখ নিয়ে
নিজের জন্য মুহূর্তেই বেরিয়ে আসি- বাজারের পথে ।
ফুলের দোকানের কিছু ফুল কিনে চলে যাই ফার্মেসিতে ,
জখমে গজ-তুলা ও ব্যাথানাশক ট্যাবলেটের ভরসাতে ।
মসজিদের পাশের দোকান থেকে কিনে নিই একখানা শেষকৃত্যের কফিন- স্মরণসভার মোমবাতি।
কিছু লোক তো বলতেই থাকে- মৃতের জন্য মোমের আলো হারাম।
কিন্তু প্রতিত্তুর আসে না – চোখের মণি’র আলো যদি কভু হারায়,
কেমনি তবে ধরণীর আলো খুজিয়া পাবে ?
ঘরের আলো যদি যায় নিভে দিশা পেতে কী জ্বালাবো তবে!